নিজস্ব প্রতিবেদন :- দীর্ঘ কয়েক বছর পার হওয়ার সত্ত্বেও উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো সুরাহ মিলেনি।
বার বার নিয়োগ সংক্রান্ত কোর্টে মামলা উঠার সত্ত্বেও সেখানেও চুড়ান্ত কোনো শুনানি উঠে আসেনি।
ইতিমধ্যে লক ডাউন ও কোভিড ১৯ জেরে আইনি ব্যবস্থা স্থগিত থাকায় শুনানি নিয়ে কোনো আশায় দেখছে না চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।
কিন্তু গত কয়েকদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে আপার প্রাইমারি নিয়োগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন,কিন্তু তার কিছু সময়ের মধ্যে পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। তাই আবারো তিনি আজ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপার নিয়োগ সংকান্ত যে পোস্ট করেছিলেন সেখানে বিভিন্ন কমেন্ট আসায় আসায় তার উত্তরে আবারও মুখ খুললেন শিক্ষা মন্ত্রী।
তিনি পোস্ট করে জানিয়েছেন “আপনারা অনেকেই আমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পােষ্টের পর অন্য বিষয়গুলাে নিয়ে মতামত দিচ্ছেন ! | আপার প্রাইমারি নিয়ে জানাই বিষয়টি বিচারাধীন । সমাধানসূত্র থাকলেও এ মুহূর্তে তা করা সম্ভব হচ্ছে না ! অতিথি শিক্ষকদের বিষয় ভেরিফিকেশন অনেক দূর । এগােনাের পর বর্তমান সময়ে আটকে পড়েছে । যদিও কলেজ গুলি যাদের নিয়ােগ করেছিল তাদেরকে সেইভাবেই ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কারণ এগুলি ওই সময় কালে সরকারের অনুমােদন ছিল না । সংকট কেটে গেলেই এ বিষয়ে সমাধান সূত্র বের হবে৷ | সবাই সুস্থ থাকুন ঘরে থাকুন ।”
আপার প্রাইমারীতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট গোটা রাজ্য জুড়ে টেট পরীক্ষা নেয় এসএসসি। এরপর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টার্ভিউ নেওয়া হয়। অভিযোগ উঠছে, ইন্টারভিউতে প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের না ডেকে অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ডেকেছে এসএসসি। এর পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করে আদালতের দারস্ত হন বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষিত চাকুরীপ্রার্থী। আজ সেই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি ছিল।”