নিজস্ব প্রতিবেদন:– লক ডাউন এর মেয়াদ বাড়ালেও আক্রান্তের সংখ্যা কমার নাম নেই। গত ২ দিন ধরে , প্রতি ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ পার হচ্ছে। আজও তার পূনরাবৃত্তি ঘটল।
লকডাউন না হলে ভারতে ৮.২ লাখ করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটতে পারত। এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং যে এই মুহূর্তে ভারতের কাছে করোনা যুদ্ধের কত বড় হাতিয়ার, তা বারবার স্পষ্ট করছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের করোনা পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতের করোনা পরিস্থিতি।
আগামী ৩-৪ সপ্তাহ বলে দেবে করোনা যুদ্ধে ভারত কতটা সফল হয়েছে। ২১ দিনের লকডাউনের মধ্যে নিজামুদ্দিনের ঘটনার পর থেকে ভারতে ক্রমেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০০ জনের দেহে মিলেছে করোনার চিহ্ন। আর এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩-৪ সপ্তাহ ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
একাধিক রাজ্য ঘোষণা করেই দিয়েছে যে তারা লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলাঙ্গানা, কর্ণাটকের মতো রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে যে লকডাউন এই সমস্ত রাজ্যে বেড়ে যাবে। বাকি বহু রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রা যাতে একযোগে সফলভাবে চলে , তার বন্দোবস্ত করতে হবে। আর তার জন্যই সম্ভবত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে সরকার। এমন জল্পনাই তুঙ্গে।
শনিবার রাত ৯ টায় সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর কোভিড ট্র্যাকার জানিয়েছে, ভারতে ৮৩২০ জনের দেহে মিলেছে করোনার চিহ্ন। ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮০০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, এর আগে, বিকেল ৫ টার স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল গোটা দেশ সেই সময় পর্যন্ত ৭৫২৯ জন করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের। গোটা দেশে ১.৭ লাখ মানুষের করোনা টেস্টিং হয়েছে বলে জানানো হয়।